রাজনীতিতে নতুন ধারা, নতুন চিন্তা এবং তরুণ নেতৃত্বের উত্থান। এই তিন লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে আসছেন উল্লাপাড়ার তরুণ রাজনীতিক বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্মসাধারন সম্পাদক কাওসার আহমেদ রনি। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি সরাসরি জনগণের সমস্যা, তরুণদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও দলের তৃণমূল স্তরের বাস্তব চিত্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এখন তিনি বিশ্বাস করেন, সময় এসেছে নীতি ও চিন্তায় তরুণ নেতৃত্বের বিকাশের।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন এই ছাত্রদল নেতা। ইতিমধ্যে তিনি প্রার্থীতা ঘোষনা করে জনসভা উঠান বৈঠক ও নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে নেমেছেন। উল্লাপাড়ায় সবচেয়ে কমবয়সী তরুণ প্রার্থী রনি জনগনের থেকে ইতিবাচক সাড়াও পাচ্ছেন।
রনি মনে করেন, রাজনীতি এখন শুধু বক্তব্য বা ক্ষমতার প্রতিযোগিতার জায়গা নয়; বরং উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও ইতিবাচক পরিবর্তনের প্ল্যাটফর্ম হওয়া উচিত। তিনি বলেন, “আমি রাজনীতিকে মানুষের আস্থা ও আশার জায়গায় ফিরিয়ে আনতে চাই। পরিষ্কার চিন্তা, সৎ উদ্দেশ্য এবং বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমেই জনগণের বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব।”
বর্তমানে সারা দেশে ছাত্রদলের রানিং পদে থাকা প্রায় ১৫০ জন তরুণ মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। আর সাবেক ছাত্রনেতা রয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি। এমন প্রেক্ষাপটে উল্লাপাড়ায় তরুণ নেতৃত্বের শূন্যতা, সিনিয়রদের মধ্যে গ্রুপিং ও সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টি রনি স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করেছেন। তিনি মনে করেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ করে উল্লাপাড়ার রাজনীতিতে নতুন গতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি।
নিজেকে তিনি শুধু একজন তরুণ নেতা নয়, বরং তরুণদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার প্রতিনিধি হিসেবে গড়ে তুলতে চান। রনি বলেন, “যুব সমাজই দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি চাই তাদের দক্ষতা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মনির্ভর করে তুলতে।”
এ লক্ষ্যে তিনি কয়েকটি বিশেষ উদ্যোগের পরিকল্পনা করেছেন স্থানীয় পর্যায়ে যুব উদ্যোক্তা হাব গড়ে তোলা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তরুণদের সম্পৃক্ত করা, এবং ডিজিটাল স্কিল ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা, যাতে তরুণরা দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে পারে।
রনি বিশ্বাস করেন, রাজনীতি মানে কেবল বক্তৃতা নয়, বরং কাজের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই সত্যিকারের রাজনীতি।
তার অঙ্গীকার উল্লাপাড়ার তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বেকারত্ব দূরীকরণ ও সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
উল্লাপাড়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কাওসার আহমেদ রনির মতো শিক্ষিত, সচেতন ও কর্মমুখী তরুণদের হাত ধরেই আগামী দিনে উল্লাপাড়ার রাজনীতির চিত্র বদলে যাবে। রনি হয়ে উঠতে পারেন নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক আইডল একজন নেতা, যিনি জনগণের আস্থা, তরুণদের শক্তি ও ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতীক।