সারের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে এডিপি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, সারের ডিলারশিপের নীতিমালা করা হয়েছে। নতুন নীতিমালায় রাজনৈতিক বিবেচনায় ডিলারশিপ দেয়ার কোনো সুযোগই নেই। দুর্নীতি-অনিয়ম না করলে পুরানো কারো ডিলারশিপ বাতিল হচ্ছে না, শুধু যেসব জায়গা খালি আছে সেখানে ডিলার নিয়োগ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, সার পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। কৃষক যেন নায্যমূল্যে সার পায় সেটি নিশ্চিত করা হবে। কৃষক যাতে নায্যমূল্যে সার পায় সেটি তদারকি করবেন কর্মকর্তারা। কেউ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনেক চাপ দিয়েছে, এমনকি আদালতেও গেছে। কিন্তু কৃষকদের কথা চিন্তা করে অনুমতি দেইনি। কিছু কুচক্রী থাকে যারা আমদানির জন্য পাগল হয়ে যায়, কিন্তু কৃষকদের কথা চিন্তা করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কৃষক এবার আলুর দাম পায়নি। কৃষকের জন্য আলুর দাম আরও কিছুটা বাড়া প্রয়োজন। ব্যবসায়ীসহ অন্য সবাই লাভবান হয়েছে, শুধু আলু চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় ৫০ শতাংশ আমন ধান কাটা হয়ে গেছে। কোনো সমস্যা না হলে এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন নিয়োগ কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি করলে কোনো ছাড় হবে না। আমার কোনো দুর্নীতি থাকলে সেটিও প্রকাশ করুন। টেন্ডারের ক্ষেত্রেও কোনো দুর্নীতি হলে অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করছে কমানোর।