পর্যটন সুবিধায় দেশে আনা ১১২টি গাড়ির বিশেষ নিলামে সর্বোচ্চ দরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) এই তালিকা প্রকাশ করে নিলামের আয়োজক চট্টগ্রাম কাস্টমস।
এতে দেখা গেছে বিশ্বখ্যাত ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ডের একটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল চার কোটি ৫ লাখ ১৩ হাজার ৩১৩ লাখ টাকা। দামি এই গাড়ির প্রতি এবার খুব আগ্রহ নেই ক্রেতাদের। এই ব্র্যান্ডের গাড়িটির দর উঠেছে ১২ লাখ টাকা।
তবে ল্যান্ড রোভারের চেয়ে কম দামি বিএমডব্লিউ গাড়ির দর উঠেছে সবচেয়ে বেশি। শীর্ষ দর পাওয়া চারটি গাড়িই বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের। বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের একটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৯৬০ টাকা। যার সর্বোচ্চ মূল্য উঠেছে ৫৩ লাখ টাকা। প্রায় ২ হাজার ৯৯৩ সিসির এই গাড়ি জার্মানিতে নির্মাণ করা হয়েছিল ২০০৭ সালে। গাড়িটির চাবি নেই।
আরেকটি বিএমডব্লিউ গাড়ির দর উঠেছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ৮৮ লাখ ৬০ টাকা। গাড়িটি ২০০০ সালের তৈরি।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ থেকে ৪ নভেম্বর অনলাইনে ও দেশের পাঁচটি নির্ধারিত স্থানে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১১০টি গাড়ি কেনার জন্য ৫৫১টি দর জমা দিয়েছিল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এটি বিগত চারবারের নিলামের মধ্যে রেকর্ড অংশগ্রহণ।
কাস্টমসের উপকমিশনার মো. আল আমিন বলেন, ১১২টি গাড়ির নিলামে দরদাতাদের রেকর্ড সাড়া পাওয়া গেছে। এখন নিলাম অনুমোদন কমিটির একটি বৈঠক হবে। সেখানকার সুপারিশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে যাবে। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেগুলো বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে না, সেগুলো আবারও নিলামে তোলা হবে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২ হাজার ৪৮৭ সিসির বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের আরেকটি গাড়ির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৫০ লাখ টাকা। এই গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ৫৯ হাজার ২৯১ টাকা। এছাড়া ৩ হাজার ৬০০ সিসির একটি বিএমডব্লিউর দাম উঠেছে ৪৬ লাখ টাকা। যার সংরক্ষিত মূল্য ছিল ৫৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা। গাড়িটি ২০০৩ সালে জার্মানিতে তৈরি। গাড়িটির চাবি আছে। গাড়িটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিট সংগ্রহ সাপেক্ষে খালাসযোগ্য।
অপরদিকে, মিতসুবিশি সোগান ব্র্যান্ডের একটি গাড়িতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন একজন। সংরক্ষিত মূল্য ছিল ১ কোটি ৩৯ লাখ ১৬ হাজার ৯২৪ টাকা।
২৭২০ সিসির একটি ল্যান্ড রোববার গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ১ কোটি ৫৫ লাখ ৩২ হাজার ৬৫০ টাকা। এই গাড়িটির সর্বোচ্চ দরে উঠেছে ২৬ লাখ টাকা। গাড়িটি ২০০৫ সালের তৈরি। চাবি পাওয়া যায়নি।
কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, এবারের নিলামে ১১২টি বিভিন্ন ব্যান্ডের গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছিল। নিলামে কেপিএল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১৬টি গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া ফারজানা ট্রেডিং ১১টি এবং শাহাদাত হোসেন ১১টি করে গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা হয়।