জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারদণ্ড

ছবি : সংগৃহীত।

ঢাকার পূর্বাচলের নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। এছাড়া তিন মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এই রায় ঘোষণা করেন।

এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে আবেদন ছাড়াই শেখ হাসিনার পরিবারকে প্লট দেয়া হয়েছিল বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্লটের জন্য সরকার সুপারিশ করবে এমন বিধান রাখা যাবে না বলেও রায়ের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পৃথক তিন মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৭। তবে ব্যক্তি হিসাবে এই সংখ্যা ২৩। শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছাড়া অপর ২০ আসামি হলেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, রাজউকের সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. কামরুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপপরিচালক হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন। আসামিদের মধ্যে একমাত্র মোহাম্মদ খুরশীদ আলম গ্রেফতার আছেন।

৯১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণে উঠে আসে, রাজধানীতে জমি থাকা সত্ত্বেও তা গোপন করে সরকারি প্লট নেন শেখ হাসিনা ও তার ছেলে-মেয়ে।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, রাজউকের আবাসন নীতি লঙ্ঘন করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাবলে ছেলে-মেয়েসহ নিজের নামে সরকারি জমি নেন শেখ হাসিনা। দাখিল করেন মিথ্যা হলফনামাও।

মূলত গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ শাসনামলের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতে থাকে।

অবৈধভাবে রাজউকের ৩০ কাঠা প্লট নেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করে দুদক। আদালতে আসামিদের উপস্থিত হতে সমন, গ্রেফতারি পরোয়ানা ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও অনুপস্থিত থাকেন তারা। এতে পলাতক অবস্থায়ই শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে চলে বিচারকাজ।

জানা গেছে, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে’ রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে গত জানুয়ারিতে ছয়টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী ও ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিকে আসামি করা হয়।

ছয় মামলাতেই হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে। তার পরিবারের তিনটি মামলার বিচার চলছে একসঙ্গে; আলাদা আদালতে রেহানা পরিবারের তিন মামলারও বিচার চলছে একসঙ্গে।


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কর্মবিরতি চলছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের, পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা

২২ কর্মকর্তাকে সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন

সীমান্তে স্বর্নের বারসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

শরিফুল রাজের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন তিথী

বন্যায় ৩ দেশে মৃত্যু ৯০০ ছাড়াল

বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া

শেখ হাসিনার ৫, রেহানা ৭ ও টিউলিপের ২ বছরের কারাদণ্ড

বিজয়ের মাস শুরু

বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম, আজ থেকে কার্যকর

যুদ্ধবিরতির মাঝেই হামলা, গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত ৩৫৭ ফিলিস্তিনি

১০

জ্বালানী লোডের প্রস্তুতি রূপপুর পারমাণবিকের রেডিয়েশন এরিয়ায় অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ

১১

আজ থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

১২