ইরানে হামলার জন্য ইসরায়েল জবাবদিহি না করলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে পুরো অঞ্চল ও এর বাইরেও। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।
রোববার রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে আরাগচি বলেন, ‘আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ২২৩১-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। ২০১৫ সালে ওই প্রস্তাবে সর্বসম্মতভাবে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।’
বৈঠকে ইরানকে সমর্থন জানিয়েছে ব্রিকস প্লাস জোটের সদস্য দেশগুলো। ১১টি দেশের এই জোট ইরানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এসব হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
ব্রিকস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সদস্য দেশগুলোর নেতারা ১৩ জুন থেকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে চালানো সামরিক হামলার বিষয়ে এই নিন্দা জানান। পাশাপাশি বেসামরিক অবকাঠামো ও শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ইচ্ছাকৃত হামলার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। তবে বিবৃতিতে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তেহরানের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে এই বিবৃতিকে।
গত মাসে ইরানের কয়েকটি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হঠাৎই হামলা করে বসে ইসরায়েল। জবাবে পাল্টা হামলা চালায় ইরান।
দুই প্রতিবেশীর সংঘাতের মধ্যে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের ওই সংঘাতে ইরানে অন্তত ৯৩৫ জন নিহত ও ৫ হাজার ৩৩২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে গত ২৪ জুন থেকে দুই দেশ এখন একটি যুদ্ধবিরতিতে রয়েছে।