মানুষের প্রগতিশীল চিন্তাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তর্ক-বির্তক হবে, কিন্তু বিতর্ক এমন জায়গায় যাচ্ছে তাতে হতাশা তৈরী হচ্ছে। উপদেষ্টারা অনেক ক্ষেত্রে অসহায়, কারণ আমলারাই সবকিছু নির্ধারণ করে দেয়।
তিনি বলেন, যদি গণতান্ত্রিক নির্বাচন করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যে সুযোগ এসেছে তা কাজে লাগিয়ে যদি কিছুটা হলেও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া যায়, তাহলে কিছুটা হলেও গণঅভূত্থানের মূল্যায়ন হবে।
মহাসচিব বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেড় বছরেই সেই ক্ষতি পূরণ হবে এমনটা ভাবা যাবে না।
দেশের রাজনৈতিক সংকটের পেছনে ভয়াবহ দুর্নীতিকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানের কাজ নিয়ে নিয়েছেন সংসদ সদস্য, যেটা তাঁর কাজ নয়। আইন প্রণয়নের বদলে তাঁরা রাস্তা উন্নয়ন, ভবন উন্নয়ন, এমনকি গাড়ি কেনা হবে কি না, সেটা নিয়ে কথা বলেছেন। রাষ্ট্রের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের।’
আলোচনায় বক্তব্য দেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, অর্থনীতিবিদ এম মাসরুর রিয়াজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু। সভা সঞ্চালনা করেন অর্পণ আলোক সংঘের চেয়ারম্যান বীথিকা বিনতে হোসাইন।