আমাদের সবারই কম-বেশি ব্রণ হয়। তবে অনুষ্ঠান বা পার্টির আগে মুখে ব্রণ দেখলে মনমেজাজ খারাপ হতেই পারে। চিন্তার কিছু নেই। এক দিনের মধ্যে ব্রণ কমিয়ে ফেলা সম্ভব। চলুন দেখে নিই পদ্ধতিগুলো।
লেবুর রস ও দারুচিনি
এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক চা-চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি সারা রাত ব্রণে লাগিয়ে রাখুন। সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আশা করা যায় ব্রণ কমে আসবে।
বরফ
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রণ দূর করতে চাইলে বরফের সাহায্য নিতে পারেন। নরম কাপড়ে বরফের টুকরো পেঁচিয়ে নিন। কাপড়টি আলতো করে ব্রণের ওপর রাখুন। ২০ সেকেন্ড রেখে সরিয়ে নিন। আবার রাখুন। এভাবে বেশ করেকবার করুন। ২৪ ঘণ্টায় দুইবার ট্রিটমেন্টটি করলে ব্রণ কমে আসবে।
টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েলকে ব্রণের শত্রু বলা যায়। এটা দ্রুত ব্রণ কমিয়ে দেয়। ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল ব্রণের ওপর লাগিয়ে নিন। সকালে ঘুম থেকে জেগে সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ব্রণ কমে গেছে।
লেবুর রস
শীতকালে ব্রণের দাগ হালকা করতে লেবুর ব্যবহার অপরিহার্য। কারণ লেবুতে আছে ভিটামিন 'সি', যা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষগুলোর মেরামত করতে সহায়তা করে থাকে। এটিতে আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিডও রয়েছে, যার ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য দাগ ফিকে করতে সহায়তা করে। আপনি যদি রোদে বাইরে না যান, তবে এটি সরাসরি আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে আপনার ত্বক খুব সংবেদনশীল হবে।
নিমপাতা ও গোলাপজল
নিমপাতা খুবই ভালো অ্যান্টিসেপটিক। আর গোলাপজল ত্বক স্নিগ্ধ আর সতেজ রাখে। পাতাসমেত গোটা পাঁচেক নিমের ডাল ভেঙে নিন। পাতাগুলো ধুয়ে পানিতে মিনিট দুয়েক ফোটান। এরপর পানি থেকে পাতা তুলে বেটে নিন। এবার পাতা বাটায় দুই চা চামচ পরিমাণ গোলাপজল মেশান। এই মিশ্রণটা ব্রণের ওপরে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ২০ মিনিট। এরপর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দ্রুত শুকাবে এবং ব্যথাও কমবে যাবে।
ডিম
ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ্যামিউনো অ্যাসিড রয়েছে। এই উপাদানগুলো ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করে তাড়াতাড়ি ব্রণ কমিয়ে দেয়। ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে তা আঙুলের ডগার সাহায্যে ব্রণের ওপর লাগান। ৪-৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।