মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাতের চব্বিশ ঘণ্টা না পেরোতেই নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে এক হাজার ৬৭০ জন।
ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
মিয়ানমারের এই ভূমিকম্পকে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলা হচ্ছে। ইউএসজিএস বলেছে, শুধু নিহতের সংখ্যাই নয়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও ব্যাপকহারে বাড়তে পারে। সংস্থাটির মতে, দেশটির আর্থিক, পরিবেশগত এবং সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
মিয়ানমারের যেসব অঞ্চলে ভূমিকম্পন অনুভূত হয়েছে, সেসব অঞ্চলে ব্যাপক জনবসতি ছিল। পাশাপাশি কম্পন অনুভূত হয়েছে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে। এই সময়ে অনেকে কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন ভবনে ৩২০ জন কর্মী কাজ করছিলেন। কম্পনের পর ভবনটি ধসে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দশ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মিয়ানমারজুড়ে অসংখ্য ভবন ধসের কারণে হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে।
তবে প্রশ্ন হলো, ভূমিকম্পের ফলে নিহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতো বেশি কেন। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভিস বলছে, কম্পনের তীব্রতা এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনসংখ্যা বিবেচনা করে প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। নিহত এবং ক্ষয়ক্ষতির অন্যতম কারণ কম্পনের তীব্রতা ও আঘাত হানা এলাকার জনবসতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে কম্পনের মাত্রার সঙ্গে মাটির নিচে কোথায় কম্পনটা হলো সেই জায়গাটাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেশি গভীরে কম্পন উৎপন্ন হলে স্থলভাগে এর প্রভাব কম পড়ে।
মিয়ানমারের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। অর্থাৎ এটিও ক্ষয়ক্ষতি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৭, এটি ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রায় ১০ মিনিট পরে আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া ৪.৯ এবং ৬.৭ মাত্রার দুইটি কম্পন মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে ঘটেছে।