স্প্রেডশিটের পদ্ধতি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে, সংস্কার কমিশনের প্রস্তবনার সঙ্গে স্প্রেডশিটের বিস্তর ফারাক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের মাঝে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ।
তিনি বলেন, স্প্রেডশিট দিয়ে আমাদের ওনারা বিভ্রান্ত করেছেন। এটা দেওয়া উচিত হয়নি। ঐকমত্য কমিশনের সাথে এটাই চূড়ান্ত আলোচনা নয়, আরও আলোচনা হতে পারে।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ। আরো ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সাবেক সংস্থাপন সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান।
এর আগে, ঐকমত্য কমিশন ছয়টি সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনার বিষয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত জানতে একটি 'স্প্রেডশিট' (টেবিল আকারে) পাঠিয়েছিল।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য সফররাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার শুরুতে সূচনা বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে না, বিএনপি সংস্কারেরই দল।
তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ নানান কথা বলেন, কিন্তু তারা যখন সংস্কারের প্রথম অক্ষরটিও উচ্চারণ করেনি, তখন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ৩০ দিয়েছেন। আরও বহুজন যখন সংস্কারের কথা ভাবেননি, তখন জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন।
আমরা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা দিয়েছি। তখন তারা এটাও বলেছেন যে, এর চেয়ে ভালো প্রস্তাব কারও থাকলে তারা সেগুলো সাদরে গ্রহণ করবেন।