বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখল বাংলাদেশ

ছবি সংগৃহীত।

বৈশ্বিক তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশের স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। তবে বিশ্ববাজারে দেশের অংশীদারিত্ব আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে। 

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘বিশ্ব বাণিজ্য পরিসংখ্যান: ২০২৪ সালের মূল অন্তর্দৃষ্টি ও প্রবণতা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখার কৃতিত্ব দেখাল বাংলাদেশ। ২০২০ সালে অতিমারি করোনাকালে বাংলাদেশকে টপকে দ্বিতীয় স্থানটি দখল করে নিয়েছিল ভিয়েতনাম। পরের বছর ২০২১ সালে ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধার করে বাংলাদেশ। তৃতীয় অবস্থানে চলে যায় ভিয়েতনাম। 

২০২৪ সালের প্রতিবেদনেও পোশাক রপ্তানিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। পোশাক রপ্তানিতে বরাবরের মতো এবারও প্রথম স্থানে আছে চীন। 

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির অংশীদারিত্ব আবার কমেছে। ২০২৪ সালে এই অংশীদারিত্ব দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯ শতাংশে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ২০২২ সালে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ছিল ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ কর্তৃক সংকলিত ডব্লিউটিও-র প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।

পোশাক রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, চলতি প্রবাহ এবং যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য প্রবেশে নতুন শুল্কের কারণে আগামীতে ভিয়েতনামের কাছে দ্বিতীয় রপ্তানিকারকের মর্যাদা হয়তো হারাতে হবে। কারণ প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভিয়েতনামের পোশাকের তুলনায় অন্তত ১৫ শতাংশ বেশি শুল্ক দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের পোশাকে।

অন্যান্য দেশের মধ্যে ভারত, তুরস্কের হিস্যা অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে। অবশ্য প্রধান রপ্তানিকারক চীনের হিস্যা কিছুটা কমেছে। ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ থেকে ২৯ দশমিক ৬৪ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রধান রপ্তানিকারক দেশটির হিস্যাও গত তিন বছর টানা কমছে। 

ডব্লিউটিওর পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর বাংলাদেশ ৩৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৮৪৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে যা ছিল ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। 

গত বছর চীন বিশ্ববাজারে ১৬৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। তার আগের বছর তাদের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৬৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। বিশ্ববাজারে প্রধান ১০ রপ্তানিকারক দেশের অন্য দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কের রপ্তানি ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ কমেছে। রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক। 

ভারতের রপ্তানি সাড়ে ৬ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি হয়েছে ১৬ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারের পোশাক। কম্বোডিয়ার রপ্তানি বেড়েছে ২৪ শতাংশ। পরিমাণ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলারের মতো। পাকিস্তানের রপ্তানি বেড়েছে ২১ শতাংশ। পরিমাণ ছিল সাড়ে ৯ বিলিয়ন ডলারের মতো। 

অন্যদিকে গত বছর ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৩ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ৩৯৪ কোটি ডলার। আগের বছর যা ছিল ৩ হাজার ১০৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে যেখানে মাত্র ৪৮ কোটি ডলার, সেখানে ভিয়েতনামের বেড়েছে ২৯০ কোটি ডলার। 


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় ভুল অস্ত্রোপচার: অ্যাপেন্ডিসাইটিসের পরিবর্তে রোগীর পায়ুপথের নালি কেটে ফেলার অভিযোগ, চিকিৎসকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধ

বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দায়িত্ব ছাড়ার কথা বলিনি, বাধা আসলে জানানো হবে: ঢাবি উপাচার্য

নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

নিউইয়র্কে পর্যটকবাহী বাস দুর্ঘটনায় বহু হতাহতের শঙ্কা

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি

চমক রেখে এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের শক্তিশালী দল ঘোষণা

গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন, একই পরিবারের ১০ জন দগ্ধ

শেখ হাসিনার অডিওবার্তা প্রচার নিয়ে সরকারের কড়া হুঁশিয়ারি

১০

কাভার্ড ভ্যান চাপায় প্রাইভেটকারের চার যাত্রী নিহত

১১

আজকের নামাজের সময়সূচি

১২