গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সামনে এবং উপাচার্যের বাসভবনে ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট। এছাড়া অবসরে যাওয়া সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এবং অবসরে যাওয়ায় সাবেক রেজিস্ট্রার আবু হাসানের পেনশন সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাত ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, সোমবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ৯ শিক্ষক হলেন- সাবেক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির, সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ রঙ্গন, সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল, অধ্যাপক হোসনে আরা, অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার ও অধ্যাপক মো. তাজউদ্দীন শিকদার।
উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আরও কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে আরও ১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে অনুষদভিত্তিক ছয়টি স্ট্রাকচারাল কমিটি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নামে থাকা স্থাপনার নাম বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল এবং শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করা হবে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে একটি কমিটি করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।