স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি গায়েবের ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চার কর্মচারীকে চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। চিহ্নিত চারজনকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. নুর আলী বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
বরখাস্ত চার কর্মচারীর মধ্যে রয়েছেন- ক্রয় ও সংগ্রহ-২ শাখার সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা ও জোসেফ সরদার, প্রশাসন-২ শাখার (গ্রহণ ও বিতরণ ইউনিট) অফিস সহায়ক বাদল চন্দ্র গোস্বামী এবং প্রশাসন-৩ শাখার অফিস সহায়ক মিন্টু মিয়া।
সচিব আলী নুর বলেন, ‘নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এখন অ্যাকশন চলমান আছে। ডিপার্টমেন্টাল প্রসেডিং হয়েছে, এ অনুযায়ী এটার কাজ চলমান থাকবে। চারজনকে আমরা চিহ্নিত করেছি। এই চারজন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের কর্মচারী।
তিনি বলেন, ‘তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন প্রসেডিং চলছে, এরপর যখন জাজমেন্ট হবে তখন তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চারজনই নিচের পর্যায়ের কর্মচারী।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাদিরা হায়দার জিডিটি করেন।
এরপর নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়টির অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলমকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) মো. আহসান কবীর, উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের ও উপসচিব মল্লিকা খাতুন।
জিডির পর ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তের অংশ হিসেবে ৩১ অক্টোবর সকালে সচিবালয়ে যায় ‘সিআইডি ক্রাইম সিন’। তারা সচিবালয় তিন নম্বর ভবনের নিচতলার ২৯ নম্বর কক্ষে (এ কক্ষ থেকে ফাইল চুরি হয়েছে) গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেন। এ কক্ষে কর্মরতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির কর্মকর্তারা।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই কক্ষের ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সিআইডি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়।