বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবশেষ আসরে ওঠা ফিক্সিংয়ের অভিযোগের তদন্তে তিন সদস্যের স্বাধীন কমিটি অন্তত ১৮-২০ জনের জড়িত থাকার ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে খেলোয়াড়, কোচ ও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্মকর্তারাও রয়েছেন। চলতি অক্টোবর মাসেই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে জমা দেওয়া হবে।
বিসিবির বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চায়, আসন্ন আসরকে যেন কোনোভাবেই বিতর্ক না ছুঁতে পারে। তাই তদন্ত রিপোর্টে যাদের নাম থাকবে, তাদের এবার বিপিএলের দল বা টিম ম্যানেজমেন্টে না রাখার বিষয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অলিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কারো নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে, আগামী বিপিএল মাঠে গড়াবে ১৯ ডিসেম্বর, চলবে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্লেয়ার্স ড্রাফট হতে পারে ১০ নভেম্বরের মধ্যেই। নির্বাচক কমিটি ইতোমধ্যে গত আসর ও এনসিএল টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্স ধরে ড্রাফট তালিকা তৈরি করছে।
নতুন ও পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্য এবার কিছু কড়াকড়ি শর্তও থাকছে। অংশ নিতে হলে পাঁচ বছরের জন্য ১৫ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে। তবে পরিচিত ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হলে কিছুটা ছাড় পাওয়া যেতে পারে। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকও অগ্রিম জমা দিতে হতে পারে গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে।
উল্লেখ্য, আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় শুরু হবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। জাতীয় দলকে প্রস্তুতির সুযোগ দিতে তার বেশ আগেই বিপিএল শেষ করার পরিকল্পনা বিসিবির।