ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) যে নোটিশ দিয়েছে তাতে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতিফলন ঘটেনি। উক্ত নোটিশটি বিভ্রান্তিকর। তবে রোববারের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে সক্ষম না হলে সেক্ষেত্রে সোমবার থেকে আবারও কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
শনিবার (২১ জুন) রাতে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন ইউআইইউয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) যে নোটিশ দিয়েছে তাতে দাবির প্রতিফলন ঘটেনি, উক্ত নোটিশটি বিভ্রান্তিকর। তাদের কাছে দাবি ছিল বিনা শর্তে ২৬ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হলেও। তবে তারা বিভ্রান্তিকর কিছু শর্ত আরোপ করেছে। একই সাথে কিছু শিক্ষার্থীকে রানিং সেমিস্টারসহ দুই সেমিস্টারের জন্য তারা সাসপেন্ড করেছে। যেটা অযৌক্তিক।
যদি আগামীকাল যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে সক্ষম না হই, সেক্ষেত্রে সোমবার (২৩ জুন) থেকে আমরা আবারও কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।
এদিকে রাতে জরুরি সভা শেষে এক নোটিশে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে জড়ানো ২৬ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ শর্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার করে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার পরিচালক আবু সা-দাত মো. মুনতাসিরবিল্লা রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সভা করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা রাত ৮টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন, সে সময়ের মধ্যেই আমরা সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। এটাই শিক্ষার্থীদের মূল দাবি ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা বহিষ্কৃত ছিলেন, তারা চলতি স্প্রিং সেমিস্টার থেকে ক্লাস চালিয়ে যেতে পারবেন। যাদের দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল, তারা ক্লাসে ফিরবেন ফল সেমিস্টার থেকে।
তবে প্রত্যাহারের নোটিশে এমন কিছু শর্ত উল্লেখ থাকায় শিক্ষার্থীরা তখনও আন্দোলন প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাননি। পরে সেটা জানায়। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা দিকে সংবাদ সম্মেলনে ৮টার মধ্যে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।