সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলমকে শোকজ (কারণ দর্শানো নোটিশ) করেছেন আদালত। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশও দেন আদালত।
আজ সোমবার শোকজ নোটিশটি মো. সারোয়ার আলমের হাতে পোঁছাতে পারে বলে জানা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ (সদর) আদালত এ শোকজ জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (এসকেআইএসসি) দুই শিক্ষক ও ভাইস প্রিন্সিপালকে বহিষ্কারকে কেন্দ্র করে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
তবে শোকজের কোনো আদেশ কপি হাতে পাননি বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সিলেট জেলা প্রশাসক ও দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. সারওয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘শোকজ করার বিষয়ে শুনেছি। তবে অফিশিয়ালি এখনো কোনো আদেশ কপি পাইনি।’
এদিকে শোকজ পাঠানোর বিষয়টি গতকাল রবিবার রাতে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা আবেদা হকের আইনজীবী ইরশাদুল হক।
এর আগে খাজাঞ্চিবাড়ি স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিনকে গত ১০ সেপ্টেম্বর সার্ভিস রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস অনুযায়ী বরখাস্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। এর বিরুদ্ধে গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা (নম্বর-৪২৬/২৫) দাখিল করেন আবেদা হক। মোকদ্দমার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ডিসিকে শোকজ করেন।
শোকজের চিঠিতে বলা হয়, সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিন প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো ধরনের নিয়োগপত্র বা পদোন্নতি ব্যতীত স্বপ্রণোদিতভাবে জোরপূর্বক এই প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল ইন-চার্জ (নারী)-এর দায়িত্ব গ্রহণ করে বিদ্যালয়ে কর্মরত অন্যান্য শিক্ষকদের ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে তাকে অভিনন্দন জানাতে বাধ্য করেছেন।