ভাষা আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ, জাতীয় নেতা ও সলঙ্গা বিদ্রোহের মহানায়ক মওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের আজ ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। ১৯০০ সালের ২৭ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার তারুটিয়া গ্রামে এক পীর পরিবারে জন্ম তাঁর। ছোটবেলা থেকেই অবিচল ন্যায়পরায়ণতা ও সাহসিকতার জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি।
১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে সলঙ্গা হাটে অনুষ্ঠিত হয় ব্রিটিশবিরোধী বিলেতি পণ্য বর্জন আন্দোলন। সে সময় ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ। ইতিহাসে এ ঘটনা সলঙ্গা হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তর্কবাগীশ ছিলেন সামনের সারির নেতা। ১৯৫৫ সালের ১২ আগস্ট পাকিস্তানের গণপরিষদে তিনি প্রথম বাংলা ভাষায় বক্তব্য দিয়ে ইতিহাসে বিশেষ জায়গা করে নেন।
১৯৫৬ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কৃষক আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলনসহ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিভিন্ন ধাপেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তর্কবাগীশের জন্মবার্ষিকীকে ঘিরে তাঁর স্মৃতিধন্য সলঙ্গা থানাকে উপজেলা ও পৌরসভায় উন্নীত করার দাবি আবারও জোরালো হয়েছে। স্থানীয় প্রায় চার লাখ মানুষ বলছেন, জাতীয় এই নেতার স্মৃতি আরও মর্যাদার সঙ্গে সংরক্ষণ করা জরুরি। তাঁরা আশা করছেন, তর্কবাগীশের নাম ও আদর্শ আগামী প্রজন্মের কাছে আরও সুস্পষ্টভাবে পৌঁছে যাবে।