রাজশাহীতে গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশুটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানান রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডিজি লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, তাকে জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবে আল্লাহ চাইলে অনেক কিছুই সম্ভব। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করা গেলে জীবিত পাওয়া যেতো। এছাড়া উদ্ধার অভিযান প্রলম্বিত হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকে। এমন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে জড়িতদের বিচারও দাবি করেছেন অনেকে।
এদিকে, এ ঘটনায় আইন আনুগ ব্যাবস্থা নেয়াসহ এ রকম আরও বিপদজনক কোন গর্ত রয়েছে কি-না তা তদারকি করার আশ্বাস দিলেন তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা খান। আর ফায়ার সার্ভিসের ডিজি লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, অতীতে এই ধরনের ঘটনাগুলো উদ্ধারে সময় লেগেছে ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা। স্পর্শকাতর উদ্ধার অভিযান হওয়ায় ধীরে ধীরে এই অভিযান চলছে। তবে এর আগে ৪২ ফুটের মধ্যেও শিশু সাজিদকে না পাওয়ায় বারংবার উদ্ধার পদ্ধতি পরিবর্তন করেছেন তারা।
ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, শিশুটি গর্তে পড়ে যাওয়ার খবর তারা পেয়েছেন বেলা আড়াইটার দিকে। এসে দেখেন, স্থানীয় লোকজন চেষ্টা করতে গিয়ে গর্তের ভেতরে কিছু মাটি ফেলেছেন। তারপর থেকে শুরু হয় শিশুটিকে উদ্ধার অভিযান।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম জানান, বিশ্বের কোথাও এমন কোনো প্রযুক্তি নেই যে, এত গভীর গর্ত থেকে তাৎক্ষণিক কাউকে উদ্ধার করবে। গর্তটি প্রায় ২০০ ফুট গভীর। নিরাপত্তার খাতিরে আমরা পাশে গর্ত করে অনুসন্ধান চালাচ্ছি। বিভিন্ন উন্নত দেশেও এত গভীরে পৌঁছাতে ৭৫-৭৮ ঘণ্টা সময় লাগে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৩৫ ফুট পর্যন্ত গর্তে ক্যামেরা পাঠানো হলেও কিছু দেখা যায়নি। এখন ৪৫ ফুট পর্যন্ত নামতে পেরেছে ফায়ার সার্ভিস। আমরা সবোর্চ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। পদ্ধতিগত কোনো ভুলও এখানে নেই।