‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র ফেডারেশন।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে সংগঠনটির ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। পোস্টে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডের বিস্তারিত বিবৃতি তুলে ধরা হয়। এতে শহিদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ না করতে পারা এবং আহত ও শহিদ পরিবারগুলোর যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়াকে তাদের অনুষ্ঠান বর্জনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ (সোমবার) রাত ৯টা ১৫ মিনিটে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে জানানো হয়েছে, তারা আগামীকালের ‘জুলাই উদযাপন ও ঘোষণাপত্র প্রদান’ অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র পৌঁছে দিতে চান। আমরা মনে করি, এটি অভ্যুত্থানের বিভিন্ন পক্ষকে প্রতীকীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার এক প্রচেষ্টা। তবে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ইতোমধ্যে সাংগঠনিকভাবে এই কর্মসূচি বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
সংগঠনটির সভাপতি আরও বলেন, বর্জনের পিছনে একাধিক কারণ থাকলেও, আমরা একটি মূল কারণকে সামনে আনতে চাই- অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও সরকার এখনো শহিদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি, আহত ও শহিদ পরিবারগুলোর যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে তাদের এই উদযাপন আয়োজনের নৈতিক অধিকার আমরা মানি না।
বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় যে মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে, তা জুলাইয়ের আত্মত্যাগ ও প্রত্যাশার সম্পূর্ণ বিপরীত বলেও উল্লেখ করেন মশিউর রহমান। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান ছিল একটি গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ। যারা আজ সেই স্পিরিটের বিপরীত পথে হাঁটছে, তারা মূলত পুরোনো শোষণমূলক ব্যবস্থাকেই ফিরিয়ে আনতে চাইছে। তার প্রতিফলন আজ সমাজের সর্বত্র দৃশ্যমান।
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাঠ করবেন জুলাই ঘোষণাপত্র। এতে দেশের রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন, অভ্যুত্থানের পক্ষগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।