রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) পদে বিজয়ী হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার। সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে সব কেন্দ্রের ভোট গণনা করে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ভিপি পদে মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত শেখ নূর উদ্দীন আবির পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট। দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ২৯০।
অন্যদিকে জিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, শিবির সমর্থিত ফজলে রাব্বি ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৯ ভোট, যা থেকে আম্মারের ব্যবধান দাঁড়ায় ৫ হাজার ৮০৮ ভোটে।
সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল তুলনামূলকভাবে ঘনিষ্ঠ। এই পদে শিবির সমর্থিত সালমান সাব্বির ৬ হাজার ৯৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৪১ ভোট। ব্যবধান মাত্র ১ হাজার ৩০ ভোট।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ১৭ হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেন। দিনভর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। পরে এর সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনা শুরু হয়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারী হল দিয়ে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। নির্বাচনে ১০টি প্যানেলসহ রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭ জন, হল সংসদে ১৫ পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন আর ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে ছয়টি নারী হলে ভোট পড়ার হার ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।