চলতি মাসের শুরুতে ডিমের দাম কম ছিল। কিন্তু এখন ডিমের দাম ডজনপ্রতি ৩০ টাকা বেড়েছে। মাস দেড়েক আগে দাম কম থাকলেও বাজারে চড়া চালের দামও। এরমধ্যে বেশিরভাগ সবজির দাম প্রতিকেজি ৮০ টাকার বেশি। সঙ্গে গত দুই সপ্তাহ ধরেই দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, আদা ও এলাচের।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর কয়েকটি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেই এমনটি জানা গেছে।
সবমিলে অনেকগুলো পণ্যের দাম একসঙ্গে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গড়পড়তা আয়ের মানুষ। অনেকে সাধ্যের মধ্যে চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখন মুদি দোকানে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা হালি, ১৫০ টাকা ডজন। কোথাও এক ডজন নিলে ৫ টাকা কমে ১৪৫ টাকা রাখা হচ্ছে।
মালিবাগ এলাকার দোকানি মফিজুর রহমান বলেন, দুই সপ্তাহ আগে ডিমের দাম ১২০ টাকা ডজন ছিল। যা এখন ৩০ টাকা বেড়েছে। তারপরও ডিমের সরবরাহ ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে, বাজারে সবজির দামও চড়া। বিক্রেতারা জানিয়েছেন টানা বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকার সবজি নষ্ট হয়ে সরবরাহ কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে দামে।
বাজারে প্রতি কেজি ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, বরবটি ও কাঁকরোল ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ধরন ভেদে বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকার মতো।
বিক্রেতাদের হিসাবে বর্তমানে ৬০ টাকার নিচে রয়েছে আলু ও পেঁপে। আর ৬০ থেকে ৮০ টাকার আশপাশে দাম রয়েছে শুধু ঢ্যাঁড়স, পটোল, মিষ্টিকুমড়াসহ হাতেগোনা দু-চারটি সবজির।
অবশ্য কারওয়ান বাজার বা বড় পাইকারি বাজারে প্রতিটি সবজির দামই তুলনামূলক কম। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার সবজির দাম কিছুটা বেড়ে যায়।
এদিকে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা। ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ভোক্তাকে কিনতে হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়।
পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের ভরা মৌসুম শেষ হয়ে আসছে। এরমধ্যে, কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যায়ে বিঘ্ন ঘটেছে। বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
কারওয়ান বাজারে পাইকারি বিক্রেতা জুবায়ের আলী বলেন, উৎপাদন এলাকায় পেঁয়াজের দাম কয়েক দিন বেড়েছে। পাবনা-ফরিদপুর এলাকার মোকামে প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম প্রায় ৪০০ টাকা বেড়েছে।
বাজারে প্রতি ১০০ গ্রামে এলাচ আগে ৪০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন সেটি সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় উঠেছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি আদার দাম ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২২০-২৫০ টাকা।
অন্যদিকে, চালের চড়া দামে নিম্নমুখী কোনো প্রবণতাই লক্ষ্য করা যায়নি। মাস দেড়েক ধরে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল। মোটা চালের দামই এখন ৬০ টাকার বেশি। মাঝারি মানের এক ধরনের কিছু মিনিকেট ও নাজিরশাইল রয়েছে, যেটা শুধু ৬৫-৭০ টাকায় পাওয়া যায়। এছাড়া বাকি সব চাল সাধারণত ৭৫-৮৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর খুব ভালো মানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চালের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা ছুঁইছুঁই করছে।