রাজধানীর মগবাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন।
তাহের বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়া জরুরি। তিনি সতর্ক করে বলেন, এ সনদ আইনগত স্বীকৃতি না পেলে জনগণের আন্দোলনের অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইতোমধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলেও জনগণের দাবিগুলো কার্যকর হয়নি। জামায়াত দাবি জানায়, নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার, কেন্দ্র দখল, পেশিশক্তি প্রদর্শনসহ নানা অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে দক্ষ আইনপ্রণেতা তৈরির লক্ষ্যে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতি চালুর ওপরও তারা জোর দেয়।
জামায়াতের দাবি অনুযায়ী, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদও পিআর পদ্ধতির সঙ্গে একমত হয়েছেন। তবে এসব বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় গণআন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন নায়েবে আমীর।
জামায়াতের ঘোষিত ৫ দফা দাবি:
১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন
২. জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা
৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা
৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা
কর্মসূচি:
দাবি আদায়ে জামায়াত কয়েকটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
* ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
* ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল
* ২৬ সেপ্টেম্বর সকল জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।