চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)–এর গুলিতে নিহত শহিদুল ইসলাম শহিদের (৩৭) মরদেহ এক সপ্তাহ পর বাংলাদেশে ফেরত দিয়েছে ভারত। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চ্যাংখালি সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতের পুলিশ শহিদুলের মরদেহ জীবননগর থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ৫৮ বিজিবির (মহেশপুর) ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মকবুল হাসান, জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক রিপন কুমার দাসসহ স্থানীয় প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ৩২ বিএসএফ (সীমানগর) ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা।
নিহত শহিদুল ইসলাম জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের নস্কর আলীর ছেলে। গত ২৯ নভেম্বর গয়েশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিনি নিহত হন।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, গয়েশপুরসহ আশপাশের গ্রামের ১০-১২ জন ভারত থেকে মাদক আনতে গিয়েছিলেন। বিকেলে ফেরার পথে বিএসএফ তাঁদের ধাওয়া করে গুলি চালালে সঙ্গীরা পালিয়ে গেলেও শহিদুল গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে বিএসএফ তাঁর মরদেহ নিজেদের হেফাজতে নেয়।
তবে নিহতের স্ত্রী নাসরিন আক্তারের দাবি ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘শহিদুল গরুর জন্য মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। সেখানে হঠাৎ বিএসএফ তাঁকে গুলি করে তুলে নিয়ে যায়। আমার স্বামী নির্দোষ।’
এক সপ্তাহ ধরে মরদেহ ফেরত না আসায় পরিবারে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সমন্বয় ও পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ দেশে ফেরত আসে।
পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হলে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয়রা সীমান্তে নিয়মিত এমন ঘটনার বন্ধে দুই দেশের কড়া পদক্ষেপের দাবি জানান।