ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় জাভা প্রদেশে একটি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ধসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারানোদের অধিকাংশই কিশোর বয়সী ছাত্র। ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তূপের ৮০ শতাংশ সরিয়ে ফেলেছেন উদ্ধারকর্মীরা।
পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো শহরে আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলটি ধসে শতাধিক কিশোর ছাত্রের উপর কংক্রিটের স্তূপ ভেঙে পড়ে, তাদের অনেকেই ঘটনাস্থলেই আটকে থেকে প্রাণ হারায়।
উদ্ধার সংস্থা জানায়, রবিবার রাত পর্যন্ত ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ধ্বংসস্তূপের প্রায় ৮০ শতাংশ পরিষ্কার করা হয়েছে এবং সেখান থেকে নিহত কিশোরদের মরদেহ ও দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার উপপ্রধান বুদি ইরাওয়ান জানান, এ পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা গেছে এবং আরও ১৩ জন নিখোঁজের সন্ধানে সোমবারের মধ্যে অভিযান শেষ করার আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “এ বছর একক কোনো ভবন ধসে এত বেশি প্রাণহানি হয়নি। প্রাকৃতিক হোক বা না হোক, ২০২৫ সালের অন্য যেকোনো দুর্ঘটনার তুলনায় সিদোয়ারজোতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন।”
উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তা ইউধি ব্রামানতিয়ো জানান, পাঁচটি দেহাবশেষও উদ্ধার করা হয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫৪-এ পৌঁছাতে পারে। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে, এবং সংস্থার প্রকাশিত ভিডিওতে উদ্ধারকর্মীদের কমলা রঙের মরদেহব্যাগ বহন করে স্কুলের ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবন ধসের কারণ ছিল উপরের তলায় নির্মাণকাজ, যা স্কুলের মূল ভিত্তি সহ্য করতে পারেনি।
ইন্দোনেশিয়া জুড়ে প্রায় ৪২,০০০টি ইসলামিক স্কুল ভবন রয়েছে, যেগুলোকে স্থানীয়ভাবে ‘পেসানত্ৰেন’ বলা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৫০টির নির্মাণের বৈধ অনুমতি আছে বলে দেশটির জনকল্যাণ মন্ত্রী দোদি হাঙ্গগোদো রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান।
আল খোজিনি স্কুলটির অনুমতি ছিল কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। মন্তব্যের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করা যায়নি।
সূত্র: রয়টার্স