পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সেনাবাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবকসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কারাকের দর্শখেলের শাহ সেলিম থানার কাছে পাক সেনাদের অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১৭ জন নিহত হন।
সংবাদমাধ্যম সামা টিভি রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, যে ১৭ জনকে সেনা সদস্যরা হত্যা করেছেন তার মধ্যে একজন বাংলাদেশের নাগরিক। কর্তৃপক্ষ তার পরিচয় এবং পাকিস্তানে আসার কারণ নিশ্চিত করেছে।নিহত ওই বাংলাদেশির কাছ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র, মুদ্রা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনি বাংলাদেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগান সীমান্তবর্তী ওই অঞ্চলে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার মাধ্যমে সেখানে অন্য দেশের নাগরিকদের উপস্থিতির বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এর আগে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে আরও দুই থেকে তিন বাংলাদেশি নিহত হন। তারা ধর্মীয় শিক্ষা ও বাণী প্রচারের লক্ষ্যে আফগানিস্তানে ঢুকেছিল করেছিলেন। এরপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তারা।
শনিবার দেশটির সেনাবাহিনী জানায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (টিটিপি) ১৭ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছেন তারা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাইবার পাখতুনখাওয়ার কারাক বিভাগে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
নিরাপত্তাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে তারা জানতে পারেন দুর্গম ওই অঞ্চলে মোল্লা নাজির গ্রুপের সদস্যরা রয়েছেন। এরপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইউনিট, স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি) এবং কাউন্টার টেররিজম বিভাগের (সিটিডি) সদস্যরা সেখানে যৌথ অভিযান চালান।
এই অভিযানটি দুইদিনব্যাপী চলেছে। ওই সময় টিটিপির সদস্যদের পাহাড়ি এলাকায় ঘিরে ফেলা হয়। অভিযান শেষে ১৭ জন নিহত হওয়ার ব্যাপারে জানতে পারেন তারা। অপরদিকে ১০ জন আহত হয়। অভিযানে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্যও আহত হন।