জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুর ও ধানমন্ডি থানার পৃথক দুই মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমীর হোসেন আমু এবং দলটির সাবেক এমপি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস আব্দুস সোবহান গোলাপকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত এ আদেশ দেন।
সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন আমুকে গত ২১ জুলাই গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আজ তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার শুনানি হয়৷ পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।
আমুকে গ্রেপ্তার দেখানো মামলার সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের শিক্ষার্থী সুজন মাহমুদ। জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট মিরপুর থানা এলাকায় অবস্থান করাকালে আসামিদের ছোঁড়া গুলি মাথার ডান পাশ দিয়ে ঢুকে ভেতরে আটক থাকে। পরে বিকেলে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সুলতান মাহমুদ গত বছরের ২৩ আগস্ট মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
গত ৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. ফজলুল হক খান গোলাপকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আজ তার উপস্থিতিতে এ নিয়ে শুনানি হয়। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন। তার মামলা সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট ধানমন্ডির জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন আব্দুল্লাহ সিদ্দিকি। ওই দিন বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হন ভুক্তভোগী। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।