রাজধানীর আকাশে ঘন কুয়াশার চাদর জেঁকে বসায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে ১০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত অন্তত রানওয়ে দৃশ্যমান না থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে এসব ফ্লাইট বিকল্প বিমানবন্দরে পাঠানো হয়।
তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট আটটি ফ্লাইট ডাইভার্ট করা হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দৃষ্টিসীমা বা ভিজিবিলিটি অনেক কমে যাওয়ায় রানওয়েতে নিরাপদ অবতরণ অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতির কারণে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটগুলোকে বিকল্প হিসেবে পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রাম, ভারতের কলকাতা এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংকক বিমানবন্দরে ডাইভার্ট করা হয়েছে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ এই সূচি বিপর্যয়ে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন এসব ফ্লাইটের কয়েক হাজার যাত্রী। বিমানবন্দর সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, কুয়াশার তীব্রতা না কমা পর্যন্ত বিমান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র বর্তমানে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার প্রভাবে জনজীবন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে এবং মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে বিরাজমান থাকায় শীতের তীব্রতা বহুগুণ বেড়ে গেছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে আসা থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট, আজারবাইজানের বাকু থেকে সিল্কওয়ে ওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দুবাই, জেদ্দা ও শারজাহ থেকে আসা তিনটি ফ্লাইট এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে আসা টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ভারতের কলকাতায় অবতরণ করে।
এ ছাড়া কুয়েত থেকে আসা জাজিরা এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটও কলকাতায় নামানো হয়। পাশাপাশি কুয়েত থেকে আগত কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ব্যাংককে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের রিয়াদ থেকে আসা একটি ফ্লাইট এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দাম্মাম থেকে আগত একটি ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ গণমাধ্যমকে জানান, ঘন কুয়াশার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে মোট আটটি ফ্লাইট বিকল্প বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পুনরায় ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।