দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ছয়জন মারা গেছেন, শনাক্ত হয়েছে আরও ২৬৬ রোগী। দুটোই আগের দিনের চেয়ে বেশি।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২৬৬ জনকে নিয়ে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ২১৪ জন। আরও ছয়জনের মৃত্যুতে মহামারীতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৩৪ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২১৩ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ২১৪ জনে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২ জনের মৃত্যু হয়।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৮৩৬টি ল্যাবরেটরিতে ১৯ হাজার ৬৪৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৯ হাজার ৬৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে ১ কোটি ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার ভিত্তিতে রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৫৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ২২৪ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭১ শতাংশ।
দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৬ জনের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব ২ জন ও ৪ জনের বয়স ৭০ বছরের বেশি। বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ প্রথম ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। গত ৩১ আগস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিন্ডিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়।