আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী বর্ণিল অনুষ্ঠানের। নানা আনুষ্ঠানিকতা, আলোচনা ও সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপিত হয়।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন ভিএসও বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর খবিরুল হক কামাল। তিনি স্বেচ্ছাসেবাকে সমাজ উন্নয়নের অন্যতম শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। পরে মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বক্তব্য দেন ভিএসও ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ও জাতীয় শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক পুরস্কারপ্রাপ্ত জামাল হোসেন ও জয়া রানী মণ্ডল। তরুণদের স্বেচ্ছাসেবায় আরও অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তাঁরা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফিজুর রহমান, এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. দাউদ মিয়া, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. শেখ মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি। তাঁরা বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলতে স্বেচ্ছাসেবী শক্তি অপরিহার্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান, বৃটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস, ইসলামিক রিলিফের কান্ট্রি ডিরেক্টর তালহা জামাল, গেইন-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রুদাবা খন্দকার এবং আইপাসসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। তাঁরা সবাই স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
‘দ্য স্পার্ক অব চেঞ্জ: ইয়ুথ ভলান্টিয়ারিজম অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক বরহানুল আশেকিন প্রিন্স। তরুণ প্রতিনিধিদের জন্য ১০ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বও রাখা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে দেওয়া হয় গ্র্যান্টস অ্যাওয়ার্ড, সেরা বিভাগীয় যুব ফোরাম পুরস্কার এবং ‘সেরা যুব স্বেচ্ছাসেবক ২০২৫’ সম্মাননা। সমাপনী বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, স্বেচ্ছাসেবীরা দেশের অগ্রযাত্রার নীরব শক্তি। এরপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এনওয়াইএফ সভাপতি ড. আরমান হোসেন। মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে শেষ হয় আয়োজন।
আয়োজকদের মতে, দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে অতিথি ও তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রমাণ করে—স্বেচ্ছাসেবার প্রতিটি অবদানই সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।