বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। মূলত তামিম ইকবাল বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় সভাপতি পদে বুলবুলের জয় অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা।
গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার পর সেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। সভাপতি পদে বুলবুলের বিরুদ্ধে প্রার্থীই ছিলেন না কেউ।
একই দিন ঢাকা বিভাগ থেকে ক্যাটাগরি-১ অর্থাৎ জেলা ও বিভাগ ক্যাটাগরিতে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন বুলবুল। ঢাকা বিভাগের কাউন্সিলরদের ১৫টি ভোট পেয়ে পরিচালক হন তিনি।
এদিকে এনসিপি নেতা সারজিস আলম বিসিবির নতুন সভাপতিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে পঞ্চগড়ের এই সন্তান তার বিভাগ রংপুরকে অবহেলিত না করতে বিসিবি প্রধান বুলবুলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের প্রতিও একই আহ্বান জানান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে সারজিস লিখেন, ‘বিসিবি প্রেসিডেন্ট হিসেবে বুলবুল ভাই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আপনাকে অভিনন্দন। দায়িত্ব গ্রহণ করেই আপনি বিভাগীয় পর্যায়ে বিসিবির অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন এই জন্য ধন্যবাদ।
কিন্তু রংপুর বিভাগ বাদ দিয়ে বাকি ৭বিভাগে বিভাগীয় অফিস স্থাপনের উদ্যোগ আমাদেরকে মর্মাহত করেছে। রংপুর বিভাগে আটটি জেলা রয়েছে। একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিভাগকে অন্য আরেকটি বিভাগের অধীনে করে দেওয়া এই বিভাগের ক্রিকেটার ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
ক্রিকেটে ফ্যাসিলিটিজ এর দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া বিভাগ রংপুর। যাদের একটা ভালো মাঠও নাই। আন্তর্জাতিক মাঠ তো দূরের কথা!
তাই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ,বিসিবি প্রেসিডেন্ট বুলবুল ভাই সহ পলিসি মেকিং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান থাকবে- অন্য সাতটি বিভাগের মত রংপুর বিভাগেও অবশ্যই বিসিবি বিভাগীয় অফিস থাকতে হবে।
পাশাপাশি অতি দ্রুত রংপুরে একাধিক ভালো মাঠ এবং অন্তত একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের মতো মাঠ তৈরি করতে হবে।
আমরা আপনাদের প্রত্যেকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করব। অতিরিক্ত কিছু আমাদের দিতে হবে না। কিন্তু যেটুকু রংপুরের প্রাপ্য সেটুকুতে রংপুরবাসীকে বঞ্চিত করা হলে সেটাও তারা মেনে নেবে না।রংপুরের সাথে যেমন আচরণ করা হবে, রংপুরও আগামীতে তাই ফিরিয়ে দেবে।’