খান ইউনিসে ইসরায়েলি বন্দীদশা থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কিছু ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে মুক্তির অনুভূতি শুনেছে আল জাজিরা।
আবদুল্লাহ আবু রাফি নামের এক ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়ে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, এ এক “দুর্দান্ত অনুভূতি”।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) আল জাজিরার খবরে বলা হয়, রাফি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আমরা ওফার কারাগার নামে একটি কসাইখানায় ছিলাম। অনেক যুবক এখনও সেখানে আছে।
ইসরায়েলি কারাগারের পরিস্থিতি খুবই কঠিন। কোনো নরম বিছানা নেই। তারা সর্বদা গদি সরিয়ে নেয়। খাবারের পরিস্থিতিসহ সার্বিক অবস্থা সেখানে অত্যন্ত কঠিন।’
আরেকজন মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দী ইয়াসিন আবুও ইসরায়েলি কারাগারের পরিস্থিতি “খুব, খুব খারাপ” বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘খাদ্য, নিপীড়ন এবং মারধরের দিক থেকে, সবকিছুই খারাপ ছিল। খাবার বা পানীয় ছিল না। আমি চার দিন ধরে খাইনি।’
সোমবার মুক্তি পাওয়া সাইদ শুবাইর বলেছেন যে তিনি তার অনুভূতি কীভাবে বর্ণনা করবেন তা জানেন না।
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি হয়ে তিনি বলেন, ‘অনুভূতি অবর্ণনীয়। সূর্য দেখা এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। আমার হাত হাতকড়া থেকে মুক্ত। স্বাধীনতা অমূল্য।’
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনিকে যাবজ্জীবন ও দীর্ঘ কারাদণ্ড ভোগকারী এবং ১৭১৮ জন বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত বা বিচারাধীন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। গাজায় যুদ্ধের সময় ধরে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাদের।
বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে ইসরায়েল তাদের মুক্তি দেয়ার পর ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করেছে। এদিকে কাতার, মিশর এবং তুরস্কের নেতাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।