গল টেস্টে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ের পর দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিং ধসের মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ। মাত্র ২৬ রানে ৫ উইকেট পতনে দিন শেষে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান করেছিল টাইগাররা। তবুও প্রত্যাশা ছিল স্কোরবোর্ডে ৫০০ রানের। কিন্তু ম্যাচের তৃতীয় দিন সকালে পাঁচশ ছোয়ার আগেই অলআউট হয়ে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
প্রথম দিন শুরুর দিকেই ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও চতুর্থ উইকেটে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। শান্ত তুলে নেন ১৪৮ রানের অনবদ্য ইনিংস, আর মুশফিক খেলেন ১৬৩ রানের ধৈর্যশীল ও কার্যকরী এক সেঞ্চুরি। শান্তর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৫টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কায়; অন্যদিকে মুশফিক খেলেছেন ৩৫০ বলের ধীরস্থির ইনিংস, যার মধ্যে ছিল ৯টি চার।
দ্বিতীয় দিনে শান্ত বিদায় নিলেও লিটনকে নিয়ে মুশফিক এগোতে থাকেন। তবে গতকাল দ্বিতীয় সেশনে আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টি বিরতির পর বাংলাদেশ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে। বিদায় নেন মুশফিক (১৬৩) ও লিটন (৯০)।
দলের বাকি ব্যাটাররা খুব একটা অবদান রাখতে না পারলেও দলীয় সংগ্রহ বড় করে নেওয়ার কাজটি সেরে ফেলেন টপ অর্ডাররা। শেষ পর্যন্ত ১৫৩.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪৯৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন পেসার আসিথা ফার্নান্দো, ৮৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। অভিষেক টেস্টে খেলতে নামা থারিন্দু রত্নায়েক ৩ উইকেট নিলেও বেশ খরুচে ছিলেন—৪৯.২ ওভারে দিয়েছেন ১৯৬ রান। আর আরেক পেসার মিলান রত্নায়েক তুলে নিয়েছেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
প্রবল রোদ আর মাঝে মধ্যে বয়ে যাওয়া বাতাস পেসারদের কিছুটা সহায়তা করলেও উইকেটটি এখনো ব্যাটিংয়ের জন্য যথেষ্ট সহায়ক। তাই বাংলাদেশের বিশাল রানের জবাবে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের এখন পরীক্ষা দিতে হবে ধৈর্যের, টেকনিক আর মানসিক দৃঢ়তার।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা এখনো রানের খাতা খোলেনি—তাদের সংগ্রহ ০.২ ওভারে ০/০।
এই টেস্টে এরই মধ্যে ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেছে বাংলাদেশ। এখন দেখার পালা, বোলাররা কীভাবে এই রান পাহাড়কে পুঁজি করে লঙ্কানদের চাপে ফেলতে পারে।