সরকার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করে শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার: মির্জা ফখরুল

সংগৃহিত ছবি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ তাদের দুর্নীতি, লুটপাটের কারণে কার্যত অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বর্তমান সরকার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করে চলতি বছরের মাঝপথে ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো, যা জনগণের ওপর চরম চাপ বাড়াবে।’

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চলমান অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা তথা উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেই ১০০টিরও বেশি পণ্যের ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছে। কিছু পণ্যের কর অব্যাহতি তুলে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পোশাক, ওষুধ এবং মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। এই সিদ্ধান্তটি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে, বিশেষ করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে, চাপ বাড়াবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে তারা চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির প্রথম ধাপের ৪২ হাজার কোটি টাকা এবং পরবর্তী সম্ভাব্য ঘাটতি মেটাতে এবং আইএমএফ এর ঋণের জন্য এই ভ্যাট বাড়িয়েছে, কারণ বর্তমান রাজস্ব দিয়ে সরকার বাজেটের খরচ মেটাতে পারছে না। একইভাবে, কিছুদিন পূর্বে সরকার ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়েছে কিছু লুন্ঠিত ব্যাংকের তারল্য সংকট মোকাবেলায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসীবাদের পরবর্তী সময়ে অন্যান্য খাতের মতো আর্থিক খাতেও বিশৃঙ্খলা ও ভঙ্গুর অবস্থা পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলো সৃষ্টি করেছে। তথাপি, বিএনপি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ জনগণের জীবনের ওপর প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে কার্যত ধ্বংস করে ফেলেছে। ডিসেম্বর ২০২৪ অনুযায়ী, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছে, দেশের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১%, অনেক ক্ষেত্রে এটি ২৫% এরও বেশি বেড়েছে। অথচ দক্ষিণ এশিয়া বিশেষত শ্রীলংকার মত দেশে মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য হারে করেছে। দেশের মোট ঋণের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে (চিত্র ০১) এবং ব্যাংকিং খাতের তারল্য সংকটের কারণে জনগণ তাদের কষ্টার্জিত আমানত ফেরত পাচ্ছে না। দেশের অর্থনীতি কার্যত ভেঙে পড়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার তার মেয়াদের শুরুতে বলেছিল, দেশের অর্থনীতির কোন অবস্থাতেই টাকা ছাপানো হবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের ন্যায় টাকা ছাপানোর মতো অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর পদক্ষেপটি গ্রহণ করল, যা দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং জনগণের নাভিশ্বাসকে বাড়িয়ে দিয়েছে।’

 

বিনিউজ/এলএ


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর সংবাদে বিস্মিত বাকরুদ্ধ হয়েছিলাম

সলঙ্গায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন তারেক রহমান

জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দিচ্ছেন বেগম জিয়া

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা থাকবে না-মির্জা আব্বাস

মসজিদে নববীতে প্রথমবার কার্পেটে মাইক্রোচিপ লাগানোর কারণ জানা গেল

সাত দিনে সারাদেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৯০

শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

জোয়ারের পানিতে লক্ষ্মীপুরে ৪০ গ্রাম প্লাবিত

চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ৩৫০ কোটি ডলার

১০

বাংলাদেশ থেকে এক লাখ কর্মী নেবে জাপান

১১

কেমন আছেন মিশা সওদাগর

১২