শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনের লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। ২২ সদস্য বিশিষ্ট প্যানেলে নেই মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক।
সম্মিলিত সাস্টিয়ান ঐক্য নামে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মুস্তাকিন বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হিসেবে ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ এবং এজিএস হিসেবে আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহিরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
প্যানেলের অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছে, ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল হাসান, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিলন, সাহিত্য ও বার্ষিকী সম্পাদক মো. আসাদুল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অমিত মালাকার, ধর্ম ও সম্প্রীতি সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম, সমাজসেবা সম্পাদক রুবেল মিয়া রাব্বি, ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা রিয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক মোস্তফা আহমেদ, শিক্ষা গবেষণা ও ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মুনতাসির মামুন শুভ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক তারেক রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আশিক, পরিবহন সম্পাদক নাসিমুল হুদা, ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যান্টিন সম্পাদক সোহানুর রহমান, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ।
কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে হৃদয় মিয়া, হৃদয় আহসান, আফফান, অন্তু গোপ ও মারুফ সাকলাইনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক কেন নেই সেই বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ পদ আমাদের খালি রয়েছে। এখনও ঘোষণা করতে পারিনি। তবে, অন্য একজন প্রার্থীর সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা চলছে। যদি আমরা আলাপ আলোচনা সমাপ্তির পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি তাকেও আমরা আমাদের প্যানেলে যুক্ত করবো।
তিনি আরও বলেন, এটি আমরা উদ্দেশ্য মূলক ভাবে খালি রাখিনি। এটা টেকনিক্যাল কারণে এ পদটিতে আমরা এখনও কারো নাম ঘোষণা করতে পারিনি। তবে, আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
শাকসু নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সেখানে দুইজন প্রাথী মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন। এর মধ্যে একজন মো. ইব্রাহিম বিন ইসলাম রিমন তিনি শিবির সমর্থিত ‘দুর্বার সাস্টিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের। আরেকজন প্রার্থী রয়েছেন আমিনুল ইসলাম জীবন। তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাবিপ্রবি শাখার মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সহমুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আমিনুল ইসলাম জীবনের সঙ্গে প্যানেলে অন্তভূক্তির বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে তাদের দলের পক্ষ থেকে এপ্রোচ করা হয়েছে। তবে, আমি তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি আমি আপাতত কোন প্যানেলে যাচ্ছি না। সতন্ত্র থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো।