নদী খাল- বিল অধ্যুষিত উল্লাপাড়া উপজেলা। এ উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট ৫টি নদী। এছাড়া রয়েছে অসংখ্য ছোট ছোট ডোবা খাল। নদী খাল ছাড়াও উপজেলার বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে চলনবিল। কিন্তু কালের আবর্তে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত অনেক নদী। এ অবস্থায় যে দুয়েকটি নদী প্রবাহমান আছে সেগুলোও মারাত্মক অস্তিত্ব সংকটে। এর ফলে চরম হুমকীতে পড়েছে জীববৈচিত্র। নদ-নদীর এমন দুর্দশার জন্য খননের অভাব এবং দখল দুষণকে দায়ী করেছে পরিবেশবীদরা।
সরেজমিনে উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফুলজোড়, গোহালা, মুক্তাহার, সরসতী ঝবঝপিয়া নদী গুলো উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। একসময়ের খর¯্রােতা নদীর বুক জুড়ে দেখা দিয়েছে সবুজের মাঠ। নাব্য-সংকটে নদীর বুকে আবাদ হচ্ছে নানা ফসল। অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে অধিকাংশ নদী। বর্ষা মৌসুমে যমুনার শাখা নদী ফুলজোড়ে পর্যাপ্ত পানি দেখা গেলেও অন্যান্য সময় ফুলজোড় নদীটিও পানি শুন্যতায় ভোগে। এছাড়া গোহালা, মুক্তাহার, সরস্বতী ঝপঝপিয়া নদী গুলো খননের অভাবে এবং দখলের কারনে নদীগুলোর প্রাণ। নদী গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষায় পানি ধারণ ক্ষমতা নেই অধিকাংশ নদীর। এতে বর্ষাকালে সামান্য পানিতে নদীর দুই কূল ছাপিয়ে দুর্দশার কারণ হয়। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। নদী গুলো খনন ও দখল দুষণ রোধের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, নদীর প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনীহার কারণে নদী অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে। মানুষ যে যার যার মতো নদী দখল করে বসতঘরসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। এছাড়া খননের অভাবেও নদী মারা যাচ্ছে। একসময়ের প্রবাহমান নদী গুলো ধানী জমিতে পরিনত হয়েছে। এভাবে নদী দখল চলতে থাকলে এবং খনন কাজ শুরু না হলে কয়েক বছরের মধ্যে শুধু নামে নদী থাকবে বাস্তবে নদী দেখা যাবে না।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উল্লাপাড়া উপজেলার দায়িত্বরত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহীন রেজা জানান, নদী খননের একটা প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে দেয়া আছে, প্রস্তাবটি পাশ হলে খনন কাজ শুরু হবে। দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় দখল উচ্ছেদ করা হচ্ছে এছাড়া দুষণ রোধেও আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।