বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) নানা আয়োজনে উদযাপিত হলো বিশ্ব লিম্ফোমা সচেতনতা দিবস ২০২৫। আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিএমইউর হেমাটোলজি বিভাগ এবং হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে দিবসটি উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। এ সময় বিএমইউর প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। র্যালিপূর্ব আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হেমাটোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আদনান হাসান মাসুদ।
র্যালিতে দেশের খ্যাতনামা হেমাটোলজিস্টবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রোগী এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বৈজ্ঞানিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। সেমিনারে তিনজন বক্তা বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি ও চিকিৎসকরা অংশ নেন। সোসাইটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সভাপতি অধ্যাপক ডা. আমীন লুৎফুল কবীর ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আদনান হাসান মাসুদ।
বৈজ্ঞানিক সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. রফিকুজ্জামান খান।
বক্তারা বলেন, লিম্ফোমা দ্রুত শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসায় সফলতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এজন্য জনগণকে সচেতন করা এবং আধুনিক চিকিৎসা সুবিধার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
প্রসঙ্গত, লিম্ফোমা হলো রক্তের ক্যান্সারের একটি প্রকার, যা লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমে শুরু হয়। লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে লিম্ফ নোড, প্লিহা থাইমাস গ্রন্থি এবং অস্থিমজ্জা অন্তর্ভুক্ত।