মোড়গ্রাম-গাড়াদহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার সিরাজগঞ্জ জেলা ওলামালীগের প্রচার সম্পাদক নুরুল আলম আনসারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, তিনি টানা দশ মাস মাদ্রাসায় অনুপস্থিত ছিলেন, অথচ ওই সময়ের পুরো বেতন একত্রে উত্তোলন করেছেন। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুসে উঠেছে মোড়গ্রাম-গাড়াদহ এলাকার সাধারণ মানুষ।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে মোড়গ্রাম-গাড়াদহ এলাকাবাসী উল্লাপাড়া গ্রীন চিলিস হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়েন সিরাজগঞ্জ জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. আবু তালেব।
তিনি বলেন, মোড়গ্রাম গাড়াবাড়ি মাদ্রাসায় নুরুল আলম আনসারী সুপার হিসেবে যোগদানের পর থেকেই মাদ্রাসার শিক্ষার মান নিম্নমুখী হয়। তিনি জেলা ওলামালীগের প্রচার সম্পাদক হওয়ায় দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে অন্যান্য শিক্ষকদের উপর জুলুম নির্যাতন করেন। তার সাথে মতের অমিল হলে শিক্ষকদের হয়রানি করেন। এমনকি তখন তিনি দুইজন জামায়াত সমর্থিত শিক্ষককে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেন। শিক্ষকদের নির্যাতন ছাড়াও মাদ্রাসার অর্থতছরুপ করেন। গত ৫ আগষ্ট আন্দোলন সংগ্রামে সরকার পতনের পর থেকেেই তিনি আর মাদ্রাসায় উপস্থিত হননি। তার বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রঞ্জু হত্যা মামলা হয়। এ মামলায় কয়েকমাস জেল খাটেন এবং দুইবার রিমান্ডেও ছিলেন। জেল থেকে বেরিয়েও পলাতক নুরুল আলম আনসারী।
তিনি আরো বলেন, আমরা গোপন সুত্রে জানতে পারি তিনি বেতন তোলার পায়তারা করছেন। পরে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আ: আলিম যাবতীয় ঘটনা উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়। লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরেও শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসন তা যাচাই-বাছাই না করে তাকে বেতন তুলতে সহযোগীতা করেন। আমরা তার উত্তোলনকৃত সকল অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে আমাদের হিসেব অনুযায়ী মাদ্রাসার প্রায় সত্তর লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে আমরা সে টাকা ফেরত এবং অন্যান্য হিসাব চাচ্ছি। অন্যথায় আমরা বড় কর্মসূচি গ্রহণ করবো।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।