খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’–এর ব্যানারে ডাকা সড়ক অবরোধ চলছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শহরে যান চলাচল বন্ধ, অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। শহরের বিভিন্ন মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার অবরোধ চলাকালে দুপুরের দিকে সদর উপজেলা পরিষদ এলাকায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ সময় অন্তত আটজন গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিকন চাকমা (২৫) নামের এক যুবককে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া জেলা সদরের বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
বর্তমানে খাগড়াছড়ি জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জেলা পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে তিন প্লাটুন আর্মড পুলিশ ও সাত প্লাটুন বিজিবি। জরুরি সেবায় নিয়োজিতদের ছাড়া সেনাবাহিনী অপ্রয়োজনীয়ভাবে কাউকে চলাচল করতে দিচ্ছেন না।
জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়া শেষে ফেরার পথে অষ্টম শ্রেণির এক মারমা কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করেন।ঘটনার পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন যুবক শয়ন শীলকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি রিমান্ডে আছেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, ‘তৃতীয় দফার অবরোধ চললেও এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। যাতে কোনো ধরনের অঘটন না ঘটে, সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’