পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। ক্ষমতাসীন দলে বিভক্তি এড়াতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে এক প্রতিবদেনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটির এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, শিগেরু ইশিবার পদত্যাগের বিষয়ে দেশটির গণমাধ্যমে রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) খবর প্রকাশিত হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে জানতে রয়টার্স যোগাযোগ করলেও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক মুখপাত্র তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি।
দেশটির সরকার জানিয়েছে, ইশিবা স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন।
ইশিবার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ে যখন ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) গত সোমবার নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য বিশেষ ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
এই অচলাবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জাপানের অর্থনীতিতে নতুন চাপ তৈরি করতে পারে। তবে বাজার বেশি নজর দিচ্ছে ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে তুলনামূলক শিথিল আর্থিক ও মুদ্রানীতি সমর্থনকারী নেতাদের সম্ভাবনার দিকে। বিশেষ করে সানায়ে তাকাইচির নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি ব্যাংক অব জাপানের সুদ বাড়ানোর পদক্ষেপের সমালোচক।
এলডিপির নেতৃত্ব নির্বাচনের শেষ পর্বে ইশিবা অল্প ব্যবধানে তাকাইচিকে পরাজিত করেছিলেন।
যদি ইশিবা সত্যিই পদত্যাগ করেন, তবে প্রধানমন্ত্রীর শেষ কাজ হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গত সপ্তাহে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করা। ওই চুক্তির অধীনে জাপান ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, বিনিময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপানের গুরুত্বপূর্ণ গাড়ি শিল্পে শুল্ক কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন।