সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় বাৎসরিক ছুটি কমানোর কথা ভাবছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেন, বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ১৮০ দিন ক্লাস হয়। শিক্ষা বহির্ভূত অনেক কাজে শিক্ষকদের ব্যস্ত রাখা হয়, এর ফলে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি কমিয়ে নয়। শিক্ষা ক্যালেন্ডারে থাকা ছুটির মধ্যে থেকে প্রাথমিকের ছুটি কমানো হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ১৫০টি উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বরের শেষদিকে অথবা অক্টোবরে এসব প্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিল চালু হবে।
স্বাক্ষরতা দিবসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিবিএসের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশের ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া ২২ দশমিক ১ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো নিরক্ষর, যারা কখনো বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি বা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে।
শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মামলার জন্য অনেক শিক্ষকের পদন্নোতি দেয়া যাচ্ছে না। ৩২ হাজার শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নোতি পাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ আছে। তাহলে একই পরিমাণ নতুন পদও সৃষ্টি হবে।