জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। জেরার জন্য আগামী সোমবার (৬ অক্টোবর) দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেলে মামলার ৫৪তম ও শেষ সাক্ষী মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর জবানবন্দি দেন।
আলমগীর জানান, জুলাই-আগস্টে আন্দোলন দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আন্দোলনকারীদের ওপর প্রায় ৩ লাখ ৫ হাজার গুলি চালায়। তিনি অভিযোগ করেন, আসামিরা হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতা ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নেননি, বরং খুন-গুম-জখমের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছিলেন।
এর আগে আদালতে উপস্থাপন করা হয় যমুনা টেলিভিশন, বিবিসি ও আল জাজিরাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত চারটি ভিডিওচিত্র। এসব প্রমাণে আন্দোলন দমনের নৃশংসতার চিত্র উঠে আসে।
প্রসিকিউটর তানভীর জোহা বলেন, আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা ফোনে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তবে সেই কলরেকর্ড এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান মুছে ফেলেন। একইভাবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সাবেক এক পরিকল্পনা মন্ত্রীর কলরেকর্ডও মুছে ফেলা হয়।
প্রসিকিউশনের পক্ষে মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন সাক্ষীদের জেরা করবেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার এ মামলায় ৮১ জনকে সাক্ষী করা হয়।