‘চাঁদাবাজির অর্থে অস্ত্র কিনছে পাহাড়ি সংগঠনগুলো’

অস্ত্র হাতে পাহাড় দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সদস্যরা। যার মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক এ কে ফরটি সেভেন থেকে শুরু করে এম ওয়ান সিক্সটিন, জি থ্রি রাইফেল। রয়েছে হ্যান্ড গ্রেনেড ও রকেট লাঞ্চারসহ অত্যাধুনিক সব অস্ত্র। এমন কোন অত্যাধুনিক অস্ত্র নেই, যা নেই পাহাড়ি সংগঠনগুলোর কাছে। 

চাঁদাবাজি, অপহরণ, হত্যা সবই হচ্ছে এসব অস্ত্রের মাধ্যমে। মূলত চাঁদাবাজির অর্থ দিয়েই কেনা হচ্ছে এসব অস্ত্র। জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফ এর মূল আর নতুন মিলে চারটি সংগঠনের সদস্যদের হাতেই রয়েছে এসব অস্ত্র। 

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে পাচ্ছে তারা এসব অস্ত্র? স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব অস্ত্রের অধিকাংশই আসছে ভারত এবং মিয়ানমার থেকে। শান্তি প্রিয় নিরীহ পাহাড়িরা পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে অস্ত্রমুক্ত পাহাড়ের স্বপ্ন দেখলেও সেটা যেন অধরাই রয়ে গেছে। দিন দিন বেড়েছে অস্ত্রের ঝনঝনানি। 

পাহাড়ি লোকজন বলছে, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, আধিপত্য বিস্তারেই ব্যবহার হচ্ছে এসব অস্ত্র। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই জীবন দিতে হয় নিরীহ মানুষকে। 

পাহাড়িরা জানায়, অস্ত্রগুলো একদিনেই যোগাড় হয়নি। তারা দীর্ঘদিন ধরে শক্তিতে পরিণত হয়েছে, তাদের কাছে সকল প্রকার অস্ত্র আছে। এ কে ফরটি সেভেন, এসএমজি, এম সিক্সটিন, এম ফোর । তারা চায় যে পাহাড়ি-বাঙালিরা নির্মূল হয়ে যাক তাহলে তারা চাঁদাবাজি করতে পারবে। তারা অস্ত্রের জোরে চাঁদা তোলে, মানুষকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে না দিলে মেরে ফেলে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব অস্ত্রের উৎস প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অস্ত্র চোরাকারবারি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন গুলো।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অস্ত্র, গোলাবারুদ এখানে আসে। এটা সামরিক এবং আইনশৃঙ্খলাবাহীনিকে দিয়ে মোকাবিলা করা যায়। আর স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে ভারত বা মিয়ানমারের অবস্থা আর আমাদের অবস্থা এক না।

সীমান্তে নজরদারি ও টহল বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত সড়ক নির্মাণ শেষ হলে এই অস্ত্রের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব দাবি প্রশাসনের। 

রাঙামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ জানান, বিভিন্ন থানা-উপজেলা রয়েছে যেগুলো খুবই দুর্গম এলাকায়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির পৌঁছাতে অনেক সময় লাগে। অপরাধীরা সেই সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। 

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ জানান, অস্ত্র যাতায়াতের রুটগুলো কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আমাদের সকল বাহিনী ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধের কাজ করে যাচ্ছে।

তথ্য বলছে, গত ১৬ বছরে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ১ হাজার ৬শ' ৩৯টি। আরও ২০ হাজার ২শ' ৬৬টি গোলাবারুদসহ সরঞ্জামাদি উদ্ধার হয়েছে।


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ থেকে কলেজ ও প্রাথমিকে ঈদের ছুটি শুরু

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম হঠাৎ উত্থান-পতন

শাকিব-নিশো বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন রায়হান রাফী

সীমান্তের শুন্যরেখায় শেষবারের মতো মৃত মায়ের মুখ দেখল বাংলাদেশের দু্ই মেয়ে।

৩০ দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু

মহার্ঘ্য ভাতা নয়, বিশেষ প্রণোদনাই পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ জমা দিলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নিহত তিন

বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থ উপদেষ্টা

সিকৃবির ৬ হলের নাম পরিবর্তন

১০

টুং টাং শব্দে মুখরিত কামারপট্টি

১১

প্রকৃতির খুব কাছে থাকতে চাই : বুবলী

১২