চুয়াডাঙ্গায় নিজের কিশোরী কন্যাকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে বাবা আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দন্ডিত আলতাপ (৪৫) সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দাতিনাখালী গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের পর ২০০৮ সাল থেকে ঘরজামাই হিসেবে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বসবাস করে আসছিলেন।
২০২৪ সালের ৭ মার্চ ওই কিশোরীর মা আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরীর বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর বাড়িতে অব¯’ানকালে পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব অনুভূত হলে প্রেগনেন্সি পরীক্ষার মাধ্যমে ২-৩ মাসের অন্তসত্তার বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ওই কিশোরী জানায় যে, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তার মা বোনের বাড়ি গেলে ওইদিন রাতে বাবা ঘরে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ২-৩ মাসে ৭-৮ বার ধর্ষণ করে।
মামলার তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর বাবা আলতাপ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসূলি (¯েপশাল পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, ধর্ষণ মামলায় বাবা আলতাপকে সর্বো”চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানার আদেশ দন্ডিত ব্যক্তির জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর পরবর্তী পর্যায়ে প্রথম দায়দেনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আদালত এটা রায়ে উল্লেখ করেছেন।