সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খুন, ধর্ষণ, চুরি–ডাকাতিসহ নানা অপরাধ বাড়তে থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। রাত নামলেই থানা সদরের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের মানুষজন অস্বস্তিতে সময় কাটান। তবে পুলিশের দাবি, তারা নিয়মিত টহল ও অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।
গত কয়েক সপ্তাহে একের পর এক হত্যাকাণ্ড, গরু চুরি, নিখোঁজ, ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক গ্রামেই রাতে পাহারা বসাতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামবাসী।
সেপ্টেম্বরে ধুবিল ইউনিয়নের আমশড়া গ্রামে ছয়টি গরু, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে এক রাতে ১০টি গরু চুরি হয়। অলিদহ গ্রামে স্কুলছাত্রী আফরিন জাহানের ঝুলন্ত লাশ, অটোরিকশাচালক আমিনুলের ডোবায় মেলানো হাড়গোড়, জীবনপুরের কিশোরী মিমকে ধর্ষণের পর হত্যা, সলঙ্গা হাইস্কুলপাড়ে গ্রাম পুলিশ আন্না রানীর লাশ উদ্ধার-এই ঘটনাগুলো এলাকাবাসীকে আরও আতঙ্কিত করেছে।
২২ অক্টোবর চকবুরু- ভেঙড়ি গ্রামে নেশার টাকার জন্য শতবর্ষী দাদীকে নাতির হত্যার অভিযোগ ওঠে। ১২ নভেম্বর ফুলজোড় নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গরু ব্যবসায়ী লতিফ খতিবের লাশ উদ্ধার হয়।
হাটিকুমরুল এলাকায় দুই শিশুকে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দু’জন বৃদ্ধের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এত ঘটনার পরও অধিকাংশ আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। যদিও ডিবি পুলিশের দাবি, কয়েকটি ঘটনায় তাদের সাফল্য আছে। তবে সলঙ্গা থানা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, “অপরাধ কমাতে টহল আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। জনবল বাড়ানোর প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। সবার সহযোগিতায়ই অপরাধ দমন সম্ভব।”