সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এক কিশোরের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দু’জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কিশোর পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ এনে স্কুলছাত্রীর বাবা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই কিশোরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মামলার অভিযোগপত্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী নানার বাড়ি থেকে পাঁচলিয়া বদরুল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। গত ১৩ এপ্রিল একই বিদ্যালয়ের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী (কিশোর) স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়া পাঁচলিয়া বাজার সংলগ্ন জহুরুলের মার্কেটে নিয়ে যায়। পরে মার্কেটের একটি কক্ষে স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সোমবার রাত ৩টার দিকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার রাকিবুল ইসলাম বলেন, স্কুলছাত্রীকে তার পরিবার হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। অস্ত্রপাচার করে দু’টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। শরীরে দুই ব্যাগ রক্তও দেওয়া হয়েছে। এখন সে ভালো আছে।