ভোলায় সচিবদের সামনেই অবরুদ্ধ বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা

ছবি : সংগৃহীত।

বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াদ হোসেনের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন ভোলার স্পিডবোট মালিক-চালক সমিতি।

এ সকল কর্মসূচির পরও উর্ধতন কর্তৃপক্ষ রিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও উপ-সচিবদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্পিডবোট মালিক ও চালকরা। 

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে  নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দুই জন অতিরিক্ত সচিব ও একজন উপ-সচিব চার দিনের সফরে ভোলায় আসলে তাদের কাছে এ অভিযোগ দেওয়া হয়। 

এ সময় অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, অতিরিক্ত সচিব সুরাইয়া পারভীন শেলি ও উপ-সচিব মোছা. জেসমিন আক্তার বানুসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএর উর্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। 

এক পর্যায়ে সচিবরা তাদের গাড়ীতে উঠে চলে যাওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত অভিযুক্ত ভোলা নদী বন্দরের সহকারি পরিচালক রিয়াদ হোসেনেকে একটি গাড়ীর মধ্যে অবরুদ্ধ করে নানা ব্যঙ্গাত্মক স্লোগান দেন তারা। পরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

এর আগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের ভোলায় আসার খবরে ভোলা-বরিশাল ও ভোলা-লাহার রুটের স্পিডবোট মালিক-চালক সমিতি ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।

লিখিত অভিযোগে স্পিডবোট মালিক-চালক সমিতি উল্লেখ করেন, ভোলা জেলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটের ভুক্তভোগী স্পিডবোট মালিক ও বোট চালকগন দীর্ঘদিন ধরে বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পারিচালক রিয়াদ হোসেনের দ্বারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন। এ কর্মকর্তা তাদের কাছ থেকে প্রতিমাসে স্পিডবোটের টাইম-টেবিলের নাম করে এক হাজার ২০০ টাকা করে নিয়ে থাকে। ভেদুরিয়া ঘাটে মোট ৭৫ থেকে ৮০ টি বোট প্রতিমাসে প্রায় এক লাখ টাকা চাঁদা দিতে হয় তাকে। যদি তাকে এই চাঁদা না দেওয়া হয় তাহলে তাদেরকে মামলার ভয় দেখানো হয়। 

এছাড়াও প্রতিমাসে আরো ৬০ হাজার টাকা বিআইডব্লিউটিএর প্রধান কার্যালয়ের নাম দিয়ে স্পিডবোট মালিকদের কাছ থেকে নিয়ে থাকে রিয়াদ। তার এ সকল দূর্নীতির বিরুদ্ধে স্পিডবোট মালিক ও চালকরা গত দুই মাস ধরে আন্দোলন করায় তাদেরকে এখন আর কোনো টাইম-টেবিল দিচ্ছে না। 

বিষয়টি নিয়ে তারা গত ২১ জুন ভোলার জেলা প্রশাসক বরাবর এবং ২৩জুন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। এর পরও এ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো রিয়াদ হোসেন বিভিন্ন লোকের কাছে বলে বেড়াচ্ছেন তিনি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ফেলেছেন। 

লিখিত অভিযোগে তারা আরো জানায়, সহকারি পরিচালক রিয়াদ হোসেনের বিরুদ্ধে গত ১৩ জুলাই স্পিডবোট মালিক ও চালকগন ভোলার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন এবং ১৮ জুলাই বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বরাবর আরো একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এরপরও সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।

রিয়াদ হোসেন এর আগে বরগুনা জেলাতেও এ ধরনের অপকর্ম করার অভিযোগ রয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। তার এ সকল ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় উল্টো বোট মালিক ও চালকদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে সরকারি পরিচালক রিয়াদ। তার এ সকল দুর্নীতির তদন্ত করে বিচারের পাশাপাশি তাকে দ্রুত ভোলা থেকে বদলী না করলে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন।

তবে এ বিষয়ে সচিবগণ মিডিয়ার সামনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে অভিযোগকারীদেরকে কাছে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জনিয়েছেন।

অভিযুক্ত বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াদ হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাকসু নির্বাচন বর্জন করলেন ছাত্রদল

ছাত্রী কেন্দ্রে ঢুকে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীর বিশৃঙ্খলা, সাংবাদিককে গলাধাক্কা

বিকেল ৩টায় দেশে পৌঁছাতে পারেন জামালরা

ভুল বোঝাবুঝির জন্য ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিলো: নির্বাচন কমিশনার

ঢাকা আসছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদল

জাকসুতে অনিয়মের অভিযোগে দুই হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ

স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির হোতা মিঠু গ্রেপ্তার

ভোলায় সচিবদের সামনেই অবরুদ্ধ বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা

জাকসু নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: শিবির সভাপতি

ইয়েমেনে হামলা চালাল ইসরায়েল, নিহত ৩৫

১০

জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু

১১

‘জাকসু নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সেনাবাহিনী’

১২