চুয়াডাঙ্গায় দামুড়হুদা জয়রামপুরে রিভন এগ্রো'র কম্পোস্ট প্ল্যান্টের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্লান্টের উদ্বোধন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহি পরিচালক মহসীন আলী।
নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন'শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুরে রিভন এগ্রো'র কম্পোস্ট প্ল্যান্টের শুভ উদ্বোধন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী।
শনিবার বিকাল ৩ টার দিকে পিকেএসএফ - এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় আরএমটিপি'র প্রকল্পে মাধ্যমে জয়রামপুর শেখ পাড়ায় রিভন এগ্রো'র কম্পোস্ট প্ল্যান্টের শুভ উদ্বোধন হয়।
রিভন এগ্রো'র কম্পোস্ট প্ল্যান্টের স্বত্বাধিকারী আনোয়ারুল হক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইফতেখার হোসেন (প্রশাসন ও মানব সম্পদ বিভাগ) ওয়েভ ফাউন্ডেশন । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গভর্নিং পরিষদের সদস্য শামীম আরা প্রভাতী , ওয়েভ ফাউন্ডেশন এর এডভাইজার আহম্মেদ বোরহান উদ্দিন
ওয়েভ ফাউন্ডেশন, আরএমটিপি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. এ এস এম শহীদ, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ।
উদ্যোক্তা পর্যায়ে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ভার্মি কম্পোটস এর মালিক ইরফান বিশ্বাস,তৌফিক এগ্রো সাপোর্ট এর মালিক তৌফিক ইসলাম , রিভন এগ্রো'র কম্পোস্ট প্ল্যান্টের স্বত্বাধিকারী মালিক মনিরুজ্জামান, সাজেদুর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ ।
উদ্যেক্তারা বলেন, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের পরামর্শে জৈব সার তৈরীর কারখানা দিয়েছি। জৈব সার তৈরি করছি বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার আসছে জৈব সার ক্রয় করার জন্য। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেব জৈব সার। এতে একদিকে জমি জমি বাঁচবে, অন্য অল্প খরচে ফলন বৃদ্ধি পাবে। নিরাপদ ফসল উৎপাদনে জৈব সার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী বলেন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহারের জন্য আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছি তৎকালীন সময়ে জৈব সারের মাধ্যমে জমিতে বিভিন্ন রকমের ফসল চাষাবাদ করা হতো । তখন যদি জৈব সার দিয়ে চাষ হতো তাহলে এখন কেন হবে না। রাসায়নিক সার দিয়ে জমিতে চাষ করলে জমির উর্বর শক্তি কমে যায়, ফলে জমির ফলন ও কমে যায়, তাই জমিতে অবশ্যই জৈব সার দিতে হবে। তারই আলোকে আমরা বিভিন্ন উদ্যোক্তাকে জৈব সার তৈরিতে আর্থিক ও ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করেছি। যাতে কৃষকরা অল্প টাকায় জৈব সার ক্রয় করে জমিতে দিতে পারে এতে জমির উর্বর শক্তি বাড়বে এবং ফসল ভালো হবে। জৈব সার ব্যবহার করুন বেশি ফসল ঘরে তুলুন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আরএমটিপি - প্রকল্পের ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর (খামার যান্ত্রিকীকরণ) আশরাফুল হক।