পাবনা জেলায় ইপিআই কর্মসূচির আওতায় ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৯ জন শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত জেলার ২ হাজার ৯৭৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া ১ নভেম্বর হতে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৮৬০টি অস্থায়ী ও ১৪টি স্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র হতে নবম শ্রেণী পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থী এবং ৯ মাস হতে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশু টিকা গ্রহণ করতে পারবে।
দেশব্যাপী টাইফয়েডের টিকা প্রদান ক্যাম্পেইন নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে পাবনায় স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে পরামর্শ বিষয়ক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় পাবনা জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে জেলা পরিষদরে রশিদ হল মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
‘শিশু কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামুলক যোগাযোগ কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক প্রচার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা সামিউল ইসলামের উপস্থাপনায় সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন পাবনা সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ। সভায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. এম রাশিদুল বারী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, সম্পাদক জহুরুল ইসলামসহ সিভিল সার্জেন অফিসের কর্মকর্তারা। সেমিনারে পাবনা জেলার প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন।