কুমিল্লার মুরাদনগরে আলোচিত ধর্ষণ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৯ জুন) ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন।
তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত ফজর আলী ছাড়াও এখন পর্যন্ত আমরা আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছি। যারা ওই ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিডিও করে নারীকে যৌন হয়রানি করেছিল।’
গ্রেফতাররা হলেন- মুরাদনগর উপজেলার পাঁচকিত্তা বাহেরচর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান, মো. আলমের ছেলে মো. আরিফ ও মো. তালেম হোসেনের ছেলে মো. অনিক।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ‘মূল আসামি ফজর আলীকে রবিবার ভোর ৫টায় ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি যে চার আসামি আছে, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে। সেটি হতে পারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অথবা যৌন হয়রানির অভিযোগে।’
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তিনি প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। এরপর থেকেই ফজর আলী নামে ওই ব্যক্তি তাকে বিরক্ত করছিল। গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে ফজর আলী কৌশলে বাড়িতে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে তাকে ধর্ষণ করে এবং কাউকে জানালে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। এসময় ওই নারীর বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ফজর আলী উপজেলার বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের পূর্বপাড়ার শহীদ মিয়ার ছেলে। ‘টাকা ধার নেওয়া নিয়ে’ ফজর আলীর সঙ্গে পরিচয় ঘটে বলে জানিয়েছেন ওই নারী। এ সূত্র ধরেই ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করেছিল।