কক্সবাজারের টেকনাফে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় সেন্ট মার্টিনের অদূর থেকে ২২ মাঝিমাল্লাসহ বাংলাদেশি চারটি ট্রলার নিয়ে গেছেন মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সেন্টমার্টিনের পূর্ব দিক থেকে দুই দফায় মাছ ধরার ট্রলারসহ তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, তার দ্বীপের চারটি ট্রলারসহ ২২ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন।
স্থানীয় জেলেরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় (১৯ নভেম্বর) সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা নুরুল আমিন, মো. আজিম, মো. হোসেন এবং তার ছেলে মো. ইউনুছের মালিকানাধীন চারটি মাছ ধরার ট্রলারে করে ২২ জন মাঝিমাল্লা সাগরে মাছ ধরতে যান। সকালে দ্বীপের পূর্ব দিকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই ট্রলারসহ ২২ জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা তীরে এসে জনপ্রতিনিধিসহ ট্রলার মালিকদের বিষয়টি জানান।
এ বিষয়ে একটি ট্রলারের মালিক মো. আজিম জানান, সকালে সেন্ট মার্টিনের পূর্ব দিকে এপারে ঢুকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা তার মাছ ধরার ট্রলারটি ধরে নিয়ে যায়। ট্রলারে ৬ জন মাঝিমাল্লা ছিল। এছাড়া আরও তিনটি ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে তিনি জানিয়েছেন।
সেন্ট মার্টিন স্টেশন কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, মাঝিমাল্লাসহ ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। তবে তারা রোহিঙ্গা নাকি বাংলাদেশি সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, মাছ ধরার ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি তদন্ত করে কোস্টগার্ড ও বিজিবি ব্যবস্থা নেবে।
তবে এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।