ভোলার চরফ্যাসনে বিএনপি ও জামাতকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় দলের ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
আহতরা হলেন, মোঃ রুবেল,মো. নাছিম, বেল্লাল, মো নাসির, ভুট্টো, বাবুল, রাফসান, মোশারেফ হোসেন, সালেহ উদ্দিন ও জমশেদ।গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাসন হাসপাতাল এলাকায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। এ দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে হাসপাতালে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো.এমাদুল হোসেন ও চরফ্যাসন থানার ওসি জাহাঙ্গীর বাদশাসহ পুলিশ সদস্যরা। তারা হাসপাতালে এলাকায় দুপক্ষের মধ্যকার হামলার ঘটনা
নিয়ন্ত্রন করেন এবং আহতদের চিকিৎসার সুযোগ করে দেন। এরপর নৌ-বাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রনে নেন।
হামলার বিষয়ে বিএনপি এবং জামায়াত নেতারা একে অপরকে দায়ী করছেন। বিএনপির পক্ষে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল স্থানীয় যুবদল নেতা সবুজের বরাত দিয়ে জানান, চকবাজার এলাকায় জামায়াত এবং বিএনপি উভয়দলের গণসংযোগ চলাকালে জামায়াতের গণসংযোগে অংশ নেওয়া
যুবলীগের জামাল সহ জামায়াতের কিছুলোক বিএনপির গণসংযোগের মধ্যে ঢুকে পড়ে এতে তাদের সাথে বিএনপির কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ফয়সালায় বসার কথা থাকলে ছাত্রশিবির ৩০ টি মোটরসাইকেলে গিয়ে সেখানে বিএনপির কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১০/১২ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবী করেছেন।
এদিকে ভোলা - ৪ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মোস্তফা কামাল এ হামলার ঘটনায় বিএনপি কর্মীদের দায়ী করে এর বিচার দাবী করেছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.এমাদুল হোসেন বলেন, হামলার বিষয়ে আমরা এখন স্পষ্ট হতে পারিনি। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চরফ্যাসন থানার ওসি জাহাঙ্গীর বাদশা জানান, হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ লিখিত
অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে আছে।